সাহিত্য কাকে বলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, যেটি সমাজে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা হয়। সাধারণভাবে, সাহিত্য হলো মানুষের ভাবনা, অনুভূতি, অভিজ্ঞতা এবং কল্পনার একটি শিল্পসৃষ্টি, যা ভাষার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এটি মানুষের মনোজগতের পরিচয়, সমাজের বাস্তবতা এবং কল্পনার মিশ্রণ। সাহিত্যকে একটি কলারূপে দেখা হয়, যেখানে শব্দ, বাক্য, এবং চিত্রের মাধ্যমে মানবজীবনের বিভিন্ন দিক ফুটে ওঠে।
সাহিত্য কাকে বলে তা বুঝতে হলে প্রথমেই এর প্রধান উপাদানগুলো বুঝতে হবে। সাহিত্য সাধারণত তিনটি মূল বিভাগে বিভক্ত: কাব্য, গদ্য এবং নাটক। কাব্য হলো কবিতা বা গান, যা মানুষের ভাবনা এবং অনুভূতিকে সৃষ্টিশীল ও কবিত্বপূর্ণভাবে উপস্থাপন করে। গদ্য সাহিত্য, যেমন গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস ইত্যাদি, মানুষের জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও চিন্তাভাবনাকে ভাষার মাধ্যমে তুলে ধরে। নাটক হলো একটি সাংস্কৃতিক ফর্ম যা মানুষের দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ এবং সমাধানকে দৃশ্যমান করে তোলে।
সাহিত্য মানুষকে চিন্তা করতে এবং নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে সহায়ক করে। এটি সমগ্র সমাজের জন্য শিক্ষামূলক এবং মানসিক বিকাশের উপায় হিসেবে কাজ করে। সাহিত্য আমাদের সংস্কৃতির পরিচয় দেয় এবং মানুষের অন্তর্দৃষ্টি ও মানবিকতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
অতএব, সাহিত্য কাকে বলে তার সহজ উত্তর হলো—এটি মানুষের চিন্তা ও অনুভূতির একটি শিল্পসম্মত প্রকাশ, যা আমাদের মানসিক এবং সাংস্কৃতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাহিত্য আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করে এবং মানুষের অভ্যন্তরীণ পৃথিবীকে বুঝতে সাহায্য করে। এটি একটি জীবনধারা।